"সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের প্রিমিয়াম দানাদার গাওয়া ঘি"

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের বিখ্যাত ঘি সারা বাংলাদেশে প্রসিদ্ধ। সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর রেশম বাড়ির ধলাই নদীর পার ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাথানে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ কাঁচা ঘাস খাওয়া দেশী গাভীর খাঁটি দুধ থেকে ক্রিম সংগ্রহ করে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুদক্ষ কারিগর দ্বারা কাঁঠের আগুনে মিষ্টি করা জ্বালে তৈরি করা হয় আমাদের সুস্বাদু দানাদার গাওয়া ঘি।

আমরা আপনার সন্তান এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ক্ষতিকর প্লাস্টিক জারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যসম্মত কাঁচের জারে ঘি সরবরাহ করি। প্যাকেজিং এ বাড়তি খরচ গেলেও আমরা কোয়ালিটি নিয়ে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করি না।

"দানাদার গাওয়া ঘি এর উপকারিতা "

পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যদিও আমরা চর্বির ভয়ে দুধ খেতে পারিনা। কিন্তু ঘিতে ভাল চর্বি বিদ্যমান। যা আমাদের হার্টের জন্য ভাল। এজন্য ঘি আমরা নির্ভয়ে খেতে পারি। প্রতিদিন যদি নিয়ম করে আধা চামচ বা এক চামচ ঘি খাই, তাহলে তা আমাদের হার্টের জন্য ভাল। স্বাস্থ্য ও ত্বকও ভাল থাকবে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। হজমে সহায়তা করবে।

জয়েন্টের সমস্যার সমাধান :ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস ঘি। যা জয়েন্টের জন্য উপকারী। সকালে গরম জলের সাথে ঘি খেলে জয়েন্টগুলির তৈলাক্ততা, শক্ততা হ্রাস এবং নমনীয়তা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। বিশেষভাবে এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী যাদের জয়েন্ট সমস্যা রয়েছে। বা বয়সে যাতে জয়েন্টে সমস্যা না হয়, তার জন্যেও খাওয়া যায়।

গ্যাস্ট্রিক,হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে : ঘি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়াতে ঘি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। কারণ ঘি যে কোনো ধরনের রিচ খাবারকে দ্রুত হজম করাতে সক্ষম। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে, দুধ এবং ঘি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চা চামচ ঘি মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

হাড় মজবুত ও দাঁতের ক্ষয় রোধ:ঘিতে ভিটামিন কে রয়েছে। এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। হাড়কে করে মজবুত। দাঁতের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি : নিউট্রিশনিস্টদের মতে, নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ঘির কোনো বিকল্প হয় না। এতে উপস্থিত ওমেগা ৬ ও ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর ও মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও কার্যকর।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ঘিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন বেশি থাকে। যেমন এ, ডি, ই এবং কে। এই পুষ্টিগুলো একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমকে সমর্থন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উষ্ণ পানির সাথে নিয়মিত ঘি খাওয়া শরীরের সংক্রমণ এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের ক্ষমতাতে অবদান রাখতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে : অনেকের ধারণা ঘি খেলে ওজন বাড়ে, বরং ঘটনা উল্টা। ঘি খেলে ওজন কমে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, ঘিতে উপস্থিত এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে।এছাড়া সারাদিন অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। উপরন্তু ঘি এবং উষ্ণ পানির সংমিশ্রণ বিপাককে কিকস্টার্ট করে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। ঘি চর্বি কোষ পুড়িয়ে শরীরে অতিরিক্ত শক্তি যোগায়।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, ঘি হলো প্রকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। যা ত্বক এবং ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু এটাই নয়, প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি’র সঙ্গে যদি সামান্য় জল মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের বয়স চোখে পরার মতো কমে যায়। ত্বকের জন্য ঘি পুষ্টিকর এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। ঘি আপনাকে নরম এবং কোমল ত্বক প্রদান করবে। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। ত্বকের কোষকে হাইড্রেশন প্রদান করে। একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ বেসন,ঘি এবং পানি মিশিয়ে নিন। মাস্কটি ২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগান। মুখের জেল্লা বাড়াতে সপ্তাহে ৩ দিন মাস্কটি লাগান। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।

চুলের জন্য ঘি : ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি চুলে লাগালে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে পারে। ঘি মাথার ত্বককে মসৃণ রাখে। কম জ্বালা অনুভব করতে সহায়তা করে। ঘি ব্যবহারে চুলে কম তেল লাগে। চুল দেখায় আরও প্রাণবন্ত।

গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়ার উপকারিতা : অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় একজন মা যা খায় গর্ভের শিশু সরাসরি তা গ্রহণ করে। এই সময় একজন গর্ভবতী মা ঘি খেলে শিশুর গায়ের রং উন্নত করতে এবং প্রসবের জন্য মায়ের পেশিকে আরো শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করে।

এনার্জির ঘাটতি দূর করে : ঘিতে উপস্থিত উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষত লরিক অ্যাসিড একদিকে যেমন এনার্জির ঘাটতি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে, তেমনি শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গরমের সময় শরীরে জলের অভাব মেটায় সহজে : ঘি আমাদের শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। আসলে এতে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদের মতে ঘি খাওয়া ভালো বিশেষত গরমের সময় যখন শরীরে জলের অভাব হয়।

এই প্রশ্নগুলো কি আপনি ভাবছেন ?

▶ সবাইতো বলে সবারটা খাঁটি। কিন্তু নেওয়ার পর দেখা যায় ভেজাল। আপনাদের কেন বিশ্বাস করব?

আমাদের আছে প্রস্তুতকারকের BSTI অনুমোদন। ডেলিভারি ম্যান দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বয়াম খুলে ঘ্রাণ নিয়ে তারপর খেয়ে টেস্ট করে পেমেন্ট করতে পারবেন। আর যদি মনে হয় আমাদের ঘি ভালো না তাহলে আপনাকে কোন ধরনের পেমেন্ট বা ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না।

▶ আপনাদের ঘি এর দাম এত বেশি কেন?

ঘি এর দাম নির্ভর করে ঘিয়ের কোয়ালিটির উপর। আর ঘি এর কোয়ালিটি নির্ভর করে দুধের কোয়ালিটি এবং সঠিক জালের উপর। আমরা সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর রেশম বাড়ির বাথানে মুক্ত অবস্থায় সবুজ কাঁচা ঘাস খাওয়া গাভীর ১০০% খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুদক্ষ কারিগর দ্বারা সঠিক পরিমাণে জাল দিয়ে আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির দানাদার খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি করে থাকি। আপনি বাজারে ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ঘি পাবেন। কিন্তু কোয়ালিটি সম্পন্ন ঘি আপনি ১৮০০ টাকার নিচে পাবেন না। আমরা যেহেতু আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির দানাদার ১০০% খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি করি এবং তা ক্ষতিকর প্লাস্টিক জারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যসম্মত কাঁচের জারে পাকেজিং করে থাকি তাই আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি। আমরা তুলনামূলক কম প্রফিট করে থাকি। কোয়ালিটি ঠিক রাখতে চাইলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না। আপনি বাজারে হয়ত ঘি দেখছেন আমাদের চেয়ে কিছুটা কম দামের। কিন্তু সেগুলো তে ডালডা, ভেজিটেবল অয়েল, ক্ষতিকর কালার এবং ফ্লেবারসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে। আপনি অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে কম দামে মানহীন ও ভেজাল ঘি কিনে আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলবেন না। কম দামে ভেজাল না খেয়ে সঠিক দামে ভালো খান। কম খান তবুও সেরাটাই খান।

▶কিভাবে ঘি সংরক্ষন করা যায়?

ঘি এর আসল স্বাদ ঘ্রাণ উপভোগ করতে ঘি কখনো ফ্রীজে রাখবেন না।মনে রাখবেন বছরের পর বছর ঘি ঘরে রেখে খাওয়া যায় যদি সেটা খাঁটি হয় ।শুধু একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন ঘি এর সাথে যেন কোনভাবেই পানি মিশে না যায়। অবশ্যই শুকনা চামচ ব্যবহার করবেন ।কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের "সুশাদু" ঘি ১ বছর অনায়াসে রেখে খেতে পারবেন ।

যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - 01880133666

"আমরা সরাসরি সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থেকে ঘি সারা বাংলাদেশে সরবরাহ করি"

⬇︎⬇︎ দানাদার গাওয়া ঘি নিতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন ⬇︎⬇︎

Billing details

Your Products

Product
Quantity
Price
৯৭০ মি.লি. দানাদার প্রিমিয়াম ঘি1
+
৳ 1,450.00
৫০০ মি.লি.দানাদার প্রিমিয়াম ঘি1
+
৳ 750.00

Your order

Product Subtotal
৯৭০ মি.লি. দানাদার প্রিমিয়াম ঘি  × 1 ৳ 1,450.00
Subtotal ৳ 1,450.00
Shipping
Total ৳ 1,510.00
  • Pay with cash upon delivery.

Your personal data will be used to process your order, support your experience throughout this website, and for other purposes described in our privacy policy.

© sushadubd.com